শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
ভোলার বিধ্বস্ত উপকূলে ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন

ভোলার বিধ্বস্ত উপকূলে ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভোলার উপকূল। বিধ্বস্ত উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় পড়ে রয়েছে ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন। ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, দোকানপাট ও গবাদিপশু হারিয়ে অনেকে এখন দিশেহারা। পানিবন্দি হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন এমন চিন্তার ছাপ তাদের চোখে-মুখে। উপকূল ঘুরে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ সরাসরি আঘাত না হানলেও তার প্রভাবে বিধ্বস্ত ভোলার উপকূল। চারদিকে ঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতির চিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো পরিবার। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাগর উপকূলের দ্বীপচর চরফ্যাশনের ঢালচর ও কুকরি-মুকরিতে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। ঝড়ের প্রভাবে গত তিন দিন ধরে পানিবন্দি পুরো দ্বীপের মানুষ। অনেকের ঘরে ঠিকমতো রান্নাও হচ্ছে না। জীবন বাঁচাতে অনেকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিলেও তারা হারিছেন সহায় সম্বল। একই অবস্থা মনপুরার বিভিন্ন দ্বীপচরের। ঢালচরের বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, পুরো চরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি ঘরবাড়ি। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ আর দোকানপাটের মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন কোনো ঘর নেই। বেশিরভাগ মাছের আড়ৎ ভেঙে গেছে। চর শাহজালাল এলাকার বাসিন্দা নাছির বলেন, চরের শতাধিক ঘরের ক্ষতি হয়েছে। কারো ঘরে রান্না করার মতো পরিস্থিতি নেই। ঝড়ের সময় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র, উঁচু স্থানে গিয়ে জীবন রক্ষা করেছেন। ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চরপাতিলা, চরজ্ঞান, সোনার চর, কুলাগাজীর তালুক, চর যতিন, চর শাহজালাল, চর নিজাম, কলাতলীর চরসহ অন্তত ৩০টি চরে চার থেকে পাঁচ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ওইসব এলাকার মানুষ এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সূত্র জানিয়েছে, ঝড়ে জেলায় ২৫০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজ রয়েছে ১২০০ গরু-মহিষ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বিশেষ করে যারা পানিবন্দি অবস্থায় আছে তাদের মধ্যে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ তিন হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ এসেছে। আমাদের কাছে এক কোটি ৯২ লাখ টাকার মজুদ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com